আসসালামুয়ালাইকুম, ব্যাস্ততার কারনে নিয়মিত লিখতে পারিনি। তাই আজকে লিখতে বসলাম। দেরি করার জন্য ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আগেই বলে রাখি আমি একজন প্রাক্টিসিং মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করছি। তাই আমি যাই লিখছি, উক্ত বই হতে অন্তর্ভুক্ত।
গত পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম, স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটির অংশ এবং অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে।
আজ আমরা খুব ছোট্ট পরিসরে আলোচনা করবো, স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বুষ্ট সম্পর্কে।
সালাত এবং শক্তি! একমাত্র নামাজের মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর খুব কাছাকাছি কানেকশন করতে পারি। যা আমাদের মানসিক,শারিরিক দিকগুলোর সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
অতঃপর যেই বিষয়টি আসে তা সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো , সঠিক সময়। সঠিক সময়ে সঠিক নামাজ পড়লে যেমন নিজের এবাদত ঠিক থাকে তেমনি মেন্টালি এবং ফিজিক্যালিও তার অবদান রয়েছে। এছাড়া সালাতের পাশপাশি সঠিক সময়ে আল্লাহর বিভিন্ন এবাদত করার জন্য সঠিক সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এরপর আসে ,ওযু করার বিষয়টা । আপনার ঘুম ঘুম পাচ্ছে? ওযু করে আসেন। খুব রাগ হচ্ছে? ওযু করে আসেন। মনের ভিতর বিষন্নতা? ওযু করে আসেন। টায়ার্ড লাগছে? ওযু করেন ।
একমাত্র ওযুই পারে আমাদের সকল আনপ্রোডাক্টিভ বিষয়গুলো সমাধান করতে।
ওযুর পরেই, আমাদের স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বুষ্ট করতে যেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন , তা হলো জিকর করা।
সালাতে, ঘুমানোর আগে, ঘুম হতে উঠে, কোথাও যাওয়ায পথে আল্লাহর জিকর করা , আমাদের জন্য যেমন আখিরার জন্য ভালো । তেমনি আমাদের মানসিক বেনিফিট এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জিকিরের মাধ্যমে আমরা সব সময় আল্লাহ তায়ালাকে মনে রাখি। ফলে আল্লাহ তায়ালা সবসময় আমাদের কাছেই থাকেন ্ আমাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন।
এরপরের বিষয়টি আসে, সাদাকাহ করা। অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে দান করা। এর মাধ্যমে আমরা যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করি তেমনি মানসিক ভাবে এমনকি আর্থিক ভাবেও আমরা লাভবান হই।
সাদাকাহ করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রিজিক আরো বাড়িয়ে দেন,ফলে আমরা আরো বেশি সাদাকাহ করতে পারি।
ইসলামিক সুন্নাহ মেনে চলা। এটি স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বুষ্ট করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এর মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে আরও সহজ করতে পারি। কাউকে দেখলে সালাম দেওয়া, হাসিমুখে কথা বলা। প্রতিবেশির খোঁজ খবর নেওয়া। এসকল কিছুই সুন্নার অংশ। প্রোডাক্টিভিটি বুষ্ট করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইস্তেগফার পড়া। জিবনে চলার পথে আমরা শয়তানের ধোকায় পড়ে কতই না ভুল করি,পাপ করি। এবং আমরা জানি আল্লাহ ক্ষমাশীল। তাই আমাদের সকলের উচিত ইস্তেগফার করা।এতে আল্লাহ তায়ালা যেমন খুশি হন এবং বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। তেমনি ইস্তেগফার এর ফলে আমরা মানসিক ভাবেও অনেক আরামবোধ করি। যা আমাদের স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বুষ্ট করতে অনেক সহায়তা করে। মনের ভিতর কোন ভারি কিছুর চাপ অনুভূত হয়নি। ।
মূলত উপরের সকল বিষয় বস্তুই হলো, স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বুষ্ট করার উপায়।