স্প্রিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি!
একজন মুসলিম হিসেবে স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বলতে মূলত, সেই শক্তিকে বোঝায়, যেই শক্তির মাধ্যমে আপনি আল্লাহ তায়ালার কাছে আসতে পারেন। আপনি যত বেশি আল্লাহর কাছ আসবেন, তত বেশি আপনি শক্তি পাবেন।
এরপরের বিষয়টা হলো, স্পিরিচুয়াল ফোকাস। আল্লাহর কাছে আসার জন্য, আমাদেরকে একটা প্রোপার ফোকাস দরকার,যেটা যেমন তার এবাদত করার জন্য প্রয়োজন,তেমনি তার যথাসম্ভব কাছে থাকার জন্য।
তাহলে সব কিছু একসাথে, এনার্জি,ফোকাস সময় একত্রে যদি মেইনটেইন করা হয় তাহলে ,তার রেজাল্ট হলো, বারাকাহ,যেটাকে আমরা আল্লাহর তরফ হতে শান্তি কেউ বোঝাই। যা আমাদের জীবনের পথকে যেমন সহজ করে,তেমনি আল্লাহর তায়ালার সান্নিধ্য থাকার জন্য সহায়ক।
স্পিরিচুয়াল এনার্জি কে আবার বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা হয়েছে!
যেমন:
১. তাকওয়া
২.তাওয়াক্কুল
৩.শুকু্র
৪. সবর
৫.ইহসান
নিজেদের ভিতর তাকওয়া থাকাটা , স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটির একটি সবথেকে শক্তিশালী পয়েন্ট। কেননা, এটার মাধ্যমে আপনি বারাকাহ অর্জন করতে পারেন।
এরপর যেই বিষয়টি সামনে আসে তা হলো, তাওয়াক্কুল। আল্লাহর উপর ভরসা রাখা তাওয়াক্কুল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন মুসলিম হিসেবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর উপর ভরসা করতেই হবে। কেননা আমাদের জীবনে সমস্ত সমস্যার সমাধান, আমাদের রিজিক, আমাদের দিকনির্দেশনা তার মাধ্যমেই সংগঠিত হয়।
তাওয়াক্কুল এর পরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, শুকর। অর্থাৎ, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আল্লাহর তায়ালার পুরস্কার, সমস্যা,সমাধান,রিজিক ইত্যাদির উপর কৃতঙ্গতা প্রকাশ করা ,শুকুর এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অতঃপর,শুকর এর পর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, সবর। অর্থাৎ ধৈর্য ধারন করা।
কোন কিছুই আমরা কিন্তু রাতারাতি পাই না। এবং রাতারাতি পেলেও তা সহজেই আবার রাতারাতি হারিয়ে ফেলি। বিপদে বা সমস্যায় পড়লে আমাদেরকে উদ্বিগ্ন না হয়ে, ধৈর্য ধরে তা সমাধান করতে হবে।
স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো, সবর বা ধৈর্য ধারন করা।
ইহসান হলো আমাদের এবাদতের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।। যেখানে এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায়, ইহসান হলো এমনভাবে এবাদত করা , যাতে আমার বিশ্বাস করা আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখছেন, কিন্তু আমি তাকে না দেখলেও তিনি সর্বদা আমাকে দেখছেন, আমার পাশে আছেন।
মূলত উপরের বিষয়গুলো ছিল, স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়।